Cart

Your Cart is Empty

Back To Shop

আইপি ফোন কি এবং এর বিস্তারিত

আইপি-ফোন-কি-দাম-এবং-বিস্তারিত

আইপি ফোন বর্তমান যোগাযোগ ব্যবস্থাকে এনে দিয়েছে এক নতুন গতি। এটি যেমন যোগাযোগ ব্যাবস্থাকে করেছে সহজতর ঠিক তেমনি কমিয়ে এনেছে যোগাযোগ খরচ। এখানে আমরা জানব আইপি ফোন কি (What is IP Phone) এবং এটা নিয়ে করব এক বিস্তারিত আলোচনা।

সুতরাং আইপি ফোন কি?

আইপি ফোন মূলত ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্ক সিস্টেমের মাধ্যমে কাজ করে। দুই বা একাধিক আইপি টেলিফোন সাথে পারস্পরিক সংযুক্ত করা হয় এবং নিজেদের মধ্যকার পারস্পারিক যোগাযোগের জন্য এটি একটি নির্দিষ্ট স্থান যেমন অফিস-আদালত বা যে কোন প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয়। IP Phone কে আবার VoIP ফোন ও বলা হয়। এই ধরণের ফোনে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সুবিধা থাকায় বর্তমান সময়ের বিভিন্ন অফিসে ট্র্যাডিশনাল সুইচড টেলিফোনের পরিবর্তে এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে এটি ব্যবহার হয় বিধায় এর চাহিদা ব্যপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই ফোনগুলো কয়েক ধরণ বা নামে পরিচিত যেমন ডেস্ক ফোন, কনফারেন্স ফোন এবং কর্ডলেস ফোন। এটি দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ টেলিফোনের মতই তবে ব্যবহার সুবিধা সাধারণ টেলিফোনের থেকে বেশ ভালো।

আইপি ফোন কিভাবে কাজ করে?

hosted-pbx-vs-sip-trunking-diagram

যখন কেউ একটি আইপি ফোনে কথা বলে তখন এটি ঐ ব্যাক্তির ভয়েস গ্রহণ করে ডিজিটাল সিগনালে রুপান্তর করে পরবর্তীতে সেই সিগনালগুলো ডাটা হিসেবে নির্ধারিত ব্রড লাইনে প্রেরণ করে। মানে হচ্ছে আপনার কথাগুলো এই ফোনটি গ্রহণ করে আইপি সিস্টেমের মাধ্যমে রাউটিং করে ফোনের ইন্টারেনেটের মাধ্যমে অপর প্রান্তের ব্যাক্তিকে বার্তা প্রেরণ করে।

আইপি ফোনের সুবিধা সমূহ

আগেই বলেছি আইপি ফোনের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে কিন্তু কি সেই সুবিধা আমরা লেখার এই অংশে তা জানার চেস্টা করব।

খুবই কম খরচে যোগাযোগঃ ট্র্যাডিশনাল টেলিফোনে যোগাযোগ করতে গ্রাহককে বেশ টকা গুনতে হয়। এই বিনেচনায় আইপি ফোনের খরচ খুবই কম কেননা এটি ওয়াইফাই বা ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে ব্যবহার করা হয়। আর ইন্টারনেট সংযোগ যেহুতু নির্দিষ্ট একটি মাসিক খরচের মধ্যে পড়ে তাই ঐ নির্দিষ্ট সংযোগের দ্বারা ইচ্ছেমত আইপি টেলিফোনের সংখ্যা বাড়ানো ও কমানো যায়।

একাধিক কার্যক্ষমতাঃ আপনি শুধুমাত্র কথা বলার জন্যই আইপি ফোন ব্যবহার করতে পারবেন বিষয়টি তা নয়। আপনি চাইলে এটি দ্বারা ভিডিও কনফারেন্সে করে কথা বলতে পারবেন। অর্থাৎ এটি আপনাকে দিচ্ছে একইসাথে অডিও এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলার সুবিধা।

বহিবিশ্বের সাথে যোগাযোগঃ আপনি নিমেষেই এই ফোন দ্বারা বিশ্বের যে কোন প্রান্তে কথা বলতে পারবেন। এটি পুরো বিশ্বকে প্রায় হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে যার ফলশ্রুতিতে দ্রুত যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে।

একই পরিমান ডাটা ব্যবহারঃ  যেহুতু এটি VoIP প্রযুক্তিতে তৈরি তাই আপনি যেখানেই কথা বলুননা কেন সব্জায়গাতেই সমান ডাটা কাটবে। তাই যারা লিমিটেড ডাটা প্যাক ব্যবহার করেন তারা এই সুবিধাটা বেশ ভালভাবে পাবেন কেননা আপনি বুঝে-শুনে ডাটা ব্যবহার করে কথা বলতে পারবেন।

একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলাঃ হ্যাঁ আপনি ঠিকই পড়েছেন। এর সাহায্যে কনফারেন্স সিস্টেমের সাহায্যে একধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলা যায় ঠিক একই সময়ে। যখন কয়েকজন ব্যক্তিকে কিছু জানানো দরকার হয়, তখন সবাইকে একই সময়ে আইপি ফোনে সংযুক্ত করে এক প্রকার অডিও মিটিং করা যায়। যা সাধারণ টেলিফোনে করা যায় না।

ব্যলেন্স শেষ হওয়ার ভয় নেইঃ কখন ব্যলেন্স শেষ হয়ে যায় বা মাস শেষে কত খরচ হবে সেই চিন্তায় অনেক কথায় না বলা রয়ে যায়। তবে আইপি ফোন ব্যবহারে এই চিন্তা একদমই নেয় কারণ এটি ইন্টারনেট সংযোগে চলে বিধায় যতক্ষন ইন্টারনেট ততক্ষন আনলিমিটেড কথা।

নির্দিষ্ট নম্বর প্রয়োজন নেইঃ একটি সাধারণ ফোন ব্যাবহার করতে হলে একটি নির্দিষ্ট নম্বর দরকার হয়। তবে আইপি ফোনে এমন কোন ঝামেলা নেই।

একই স্থানের বিভিন্ন ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগঃ প্রসাসনিক কাজে এর ব্যবহার ব্যপক। কারণ এর দ্বারা এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে যোগাযোগ খুব দ্রুত সময়ে করা যায়। তাই এক জনকে ডেকে আরেক জনকে ডাকা দরকার পরেনা।

# Check IP Phones From Different Brands

আইপি ফোনের অসুবিধা

উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজনঃ ভালো বলতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগকে বোঝায়। কম গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট দিয়ে এটি ব্যবহার যন্ত্রণাদায়ক কারণ কখনও কখনও ফোন করা নাও যেতে পারে বা কথার মাঝে কল কেটে যেতে পারে। তাই এমন প্রোভাইডার থেকে সংযোগ নেয়া উচিত যারা উচ্চগতি সম্পন্ন ও বিরতিহীন ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে।

উপরিউক্ত অসুবিধা ছাড়া অন্য কোন অসুবিধা এই ফোনে লক্ষ্য করা যায় না। তাই বর্তমান টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা সাধারণ টেলিফোন ছেড়ে আইপি ফোন (IP Phone) – এর প্রতি ঝুঁকছে।

বাংলাদেশে কোন কোন ব্রান্ডের আইপি ফোন জনপ্রিয়?

Fanvil, Dinstar, Yealink, Grand Stream, Polycom হচ্ছে বাংলাদেশে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। তার মধ্যে Fanvil, Yealink প্রথম সারি দখল করে আছে। Grand Stream এবং Dinstar হল বর্তমান সময়ের আরি অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ড। তবে স ব্র্যান্ডের একই কাজ গ্রাহককে সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়া। এই ব্র্যান্ডগুলো থেকে যেটাই পছন্দ করুন না কেন, আপনি যে মনের মত সেবা পাবেন এটা নিশ্চিত।

বাংলাদেশে আইপি ফোনের দাম কেমন?

আইপি ফোনের দাম নির্ভর করে এর কার্যক্ষমতার উপর। যেমন কিছু মডেল শুধুমাত্র অডিও কল সিস্টেমে তৈরি যার দাম একটু কম। অন্যদিকে ভিডিও এবং অডিও দুটো সিস্টেম বিদ্যমান এমন ফোনের দাম অপেক্ষাকৃত বেশি। এর দাম ৩০০০/- থেকে শুরু করে ৪০০০০/- পর্যন্ত ও হতে পারে। তবে দাম যতো বেশি ফোনের সুবিধাটাও ঠিক ততটাই বেশি।

বাংলাদেশের কোথায় আইপি ফোন কিনতে পাবো?

ঢাকা এবং এর বাইরে বড় মার্কেটগুলোতে পেতে পারেন। তবে আপনি চাইলে এই অনলাইন নির্ভর যুগে বিভিন্ন অনলাই শপে এটি পাবেন। কিন্তু এত শপ আর মডেল থেকে সঠিক মডেলটি খুঁজে বের করা আর আসল পন্যটি পাওয়াই হচ্ছে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ। এই ক্ষেত্রে আমরা আপনাকে দিচ্ছি সঠিক পন্য সঠিক দামে পাওয়ার নিশ্চয়তা। আপনি নিজেই আপনার ফোনের মডেলটি পছন্দ করতে পারেন নতুবা আপনি এটি কোথায়, কোন উদ্যেশ্যে ব্যবহার করবেন তাও বলতে পারেন, আমরা আপনাকে সঠিক মডেলটি বেছে নিতে সাহায্য করব। আমদের সাথে যোগাযোগ করতে ফোন করুন এই নম্বরে – 01719300940.

যাইহোক, আপনার যদি আইপি ফোন নিয়ে আরও কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন অথবা ফোন করুন উল্লেখিত নম্বরে। আমরা আইপি ফোন ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের নেটওয়ার্কিং ডিভাইস বিক্রি করি।

# Check IP Phones From Different Brands

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Cart

Your Cart is Empty

Back To Shop